পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম পাইলস রোগ হওয়ার পর ব্যাথানাশক কিছু ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল গ্রহণ করতে পারেন।
কিন্তু যেসকল ব্যাথানাশক এ opioid আছে তা গ্রহণ করা যাবেনা কারন এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
পাইলসের জন্য বাজারে সহজলভ্য কিছু মলম, ক্রিম এবং সাপোজিটার আছে যার মধ্যে থাকে অনুভুতিনাশক (Anaesthetic) উপাদান যেমন Lidocaine. Corticosteroids জাতীয় স্টেরইড হরমোন আছে।
যেমন Anusol HC এবং Proctosedyl যা পাইলসের ফোলা এবং ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। তবে এক সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা যাবেনা তা না হলে পায়ুপথের বাহিরের ত্বকের ক্ষতি করে।
অনেক সময় সার্জারি দরকার হয়। দেখা যায় প্রতি দশ জনের মধ্যে একজনের সার্জারি করা প্রয়োজন হয়।
এগুলো হলো- ব্যান্ডিং- পাইলসকে ঘিরে একটি ইলাস্টিক ব্যান্ড দিয়ে দেয় যার ফলে পাইলসে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং পাইলসটি পরবর্তীতে ঝরে পরে যায় ১-২ সপ্তাহে।
স্ক্লেরোথেরাপি- চিকিৎসক কিছু তৈল জাতীয় মিশ্রণ পাইলসে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দিবে যা পরবর্তীতে ফোলা অংশকে নামিয়ে দিবে।
অবলোহিত রশ্মির ব্যবহার- এর মাধ্যমে পাইলসের মধ্যে অবলোহিত রশ্মি প্রদান করা হয় যা অর্শের টিস্যুকে ধ্বংস করে দেয়।
আরো কিছু জটিল সার্জারি চিকিৎসকরা করে থাকেন যা চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা বুঝে প্রয়োগ করেন।

পাইলস এর মলমের নাম
পাইলস এর মতো সমস্যার সাথে মোকাবিলা করা খুবই কঠিন এবং আরও বেশি কঠিন হয়ে যায় যখন করতে হবে আপনি এর চিকিৎসা করান।
আপনি যখন বসে থেকেও ভয় পান তখন আপনি স্পর্শ করা এবং চিকিৎসা করার কল্পনা কি করে করবেন।
ক্রিম / মলম / জেলগুলির মতো সাধারণ চিকিৎসা আঘাত, ব্যথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। ক্রিম / মলম / জেলগুলির সাথে অন্যান্য সমস্যাগুলি হ'ল: আক্রান্ত মলদ্বারে স্পর্শ করা এবং প্রয়োগ করতে অসুবিধা, তাত্ক্ষণিকভাবে ব্যবহার সম্ভব নয় এবং ত্রাণ সরবরাহ করা সময় লাগে।
পাইলস সারানোর উপায়
পাইলস রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে যন্ত্রণায় ভুগছেন। এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা করাতে হয়। তবে এবার জেনে নিন ওষুধ ছাড়া ঘরোয়া উপায়ে পাইলস সারাবেন যেভাবে।
অর্শরোগ বা পাইলস (হেমোরয়েড) খুব পরিচিত একটি শারীরিক সমস্যা। মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে ওঠা, জ্বালা করা ইত্যাদি অর্শ্বরোগের সাধারণ উপসর্গ।
ফাইবারযুক্ত খাবারের অভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকার অভ্যাস ইত্যাদি কারণে এই রোগ শরীরে বাড়তে থাকে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়েও এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
বরফ: ঘরোয়া উপায়ে পাইলস নিরাময় করার অন্যতম উপাদান বরফ। বরফ রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং ব্যথা দূর করে দেয়।
একটি কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট রাখুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার বরফ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: একটি তুলোর বলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগিয়ে ব্যথার স্থানে লাগান।
শুরুতে এটি জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করবে, কিন্তু কিছুক্ষণ পর এই জ্বালাপোড়া কমে যাবে। এটি পদ্ধতিটিও দিনে বেশ কয়েকবার অবলম্বন করুন।
অভ্যন্তরীণ (ইন্টারনাল) পাইলস রোগের জন্য এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দিনে দু’বার খান।
এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।য়েকবার বরফ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
অ্যালোভেরা: বাহ্যিক (এক্সটারনাল) পাইলস রোগের জন্য আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি দ্রুত ব্যথা কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
আভ্যন্তরীণ অর্শরোগের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা পাতার কাঁটার অংশ কেটে জেল অংশটুকু একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।
এবার এই ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেলের টুকরো ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি জ্বালা, ব্যথা, চুলকানি কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
এটি দেহের প্রদাহ দ্রুত হ্রাস করতে সাহায্য করে। অর্শরোগে নিরাময়ের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকরী।
আদা এবং লেবুর রস: ডিহাইড্রেশন অর্শরোগের অন্যতম আরেকটি কারণ।
আদাকুচি, লেবু এবং মধু মিশ্রণ দিনে দু’বার খান। এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে অর্শরোগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ছাড়া দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানিতে খেলেও অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।
পাইলস এর ক্রিম
★ পিলোরুট ক্রিম (Pilorute Cream) একটি স্থানীয় অ্যানেসথেটিস। এটি ক্ষতিকারক কামড়ের মতো ত্বক এবং ত্বকের অবস্থাকে হ্রাস করার জন্য ত্বকের উপরে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়, অ্যাকজমা এবং পোড়া ।
এটি Hemorrhoids এবং যৌনাঙ্গ অথবা মলদ্বার অঞ্চলের সমস্যাগুলির প্রতিকারের জন্যও ব্যবহৃত হয়। এই ঔষধটি ব্যথা , লালত্ব এবং হ্রাস করে কাজ করে। ফুসকুড়ি । আঠালো রূপ দাঁতের দাঁতের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।
★ পিলোরুট ক্রিম (Pilorute Cream) ব্যবহার করে আপনি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন জ্বলন্ত বা স্টিং সেন্সেশন অনুভব করতে পারেন, চড় মারার , তন্দ্রা , শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন, অস্পষ্ট দৃষ্টি অথবা আপনার কানে একটি নিষ্পেষণ অথবা ringing।
গুরুতর প্রতিক্রিয়াগুলিতে বিষণ্নতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এবং উল্টানো । আপনার প্রতিক্রিয়া অব্যাহত এবং সময়ের সাথে খারাপ হয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
★ পিলোরুট ক্রিম (Pilorute Cream) ব্যবহার করার আগে আপনার ডাক্তারকে অবহিত করুন; পিলোরুট ক্রিম (Pilorute Cream) এর মধ্যে থাকা কোনও ঔষধ, খাবার, পদার্থ বা উপাদানের অ্যালার্জি আপনি আপনার ডায়াবেটিস আছে , লিভার অথবা পেট সমস্যা এবং সংক্রমণ।
★ আপনার অবস্থার জন্য আপনার ডাক্তারের দ্বারা প্রস্তাবিত ডোজ নিন। এই টপিকাল ঔষধ একটি জেল, স্প্রে, ক্রিম, লোশন এবং চামড়া প্যাচ হিসাবে আসে। এটি পরিষ্কার এবং শুকনো চামড়া প্রভাবিত এলাকায় প্রয়োগ করুন। এটি সাধারণত প্রায় ২-৩ বার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অপারেশন খরচ কত
খুবই ভাল সার্জারী সম্ভব। কোন ধরনের দৃশ্যমান কাটাছেড়া ছাড়াই মেশিনের মাধ্যমে পাইলস সার্জারী সম্ভব। একে "লংগো" (LONGO) অপারেশন বলাহয়।এর রেজাল্ট ও ভালো।
আগে পাইলস সার্জারীর পর দেড় থেকে দুই মাস লাগতো ঘা শুকাতে, এখন এসবের কোন ঝামেলা নাই। অপারেশনের পর রোগী দ্রুত সেরে উঠে এবং কাজে যোগ দিতে পারেন।
সার্জারীর পর ক্ষতস্থান পরিষ্কার রাখতে হবে। যেসব খাবার পায়খানা শক্ত করে তা বর্জন করতে হবে। বাংলাদেশে পাইলস অপারেশন করতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।