সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়

সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয় সিজার পর তিন সপ্তাহ পর সেলাই খুলে খেলতে হবে। বর্তমানে সিজারের পর দুইটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় একটি হল কসমেটিক সার্জারি অন্যটি হচ্ছে একটি নরমাল সুতি ব্যবহার করা হয়।

সাধারণ নরমাল সেলাই এর ক্ষেত্রে যাদের ডায়াবেটিকস প্রবলেম থাকে বা অন্যান্য ইনফেকশন জনিত প্রবলেম থাকে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।আর সিজারের সেই সেলাই অপসারণ করতে হয় তিন সপ্তাহ পর।

 তবে আপনাদের জানা উচিত যে কসমেটিক সার্জারি ব্যবহার করলে সেই সেলাই কাটা লাগে না এটা অটোমেটিক ভাবে চামড়ার সঙ্গে লেগে যায়। তাই এই সেলাই অপসারণ করা লাগেনা। 

সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে

সিজারের পরে ৫ মাস প্রর্যন্ত পেটে ব্যথা থাকতে পারে। তবে অনেকেরই ২ থেকে ৩ মাসর মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে ব্যথা থাকলে এটা কোন জটিল সমস্যা না।

 তবে অতিরিক্ত হাঁটাচলা করা অথবা বেশি ভারি কাজ করে থাকলে ব্যথ বাড়তে থাকলে। এবং স্বামী স্ত্রী যদি অধিক মেলামিশা করার কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যথা দেখা দিতে পারে।


সিজারের পর কাশি হলে করণীয়

আপনারা যারা সিজারের পর কাশি হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে জানতে চান তারা হয়তো এখানে পেয়ে যাবেন 

যেরকম মনে করুন সিজারের পরে অনেকের ঠান্ডা লাগার কারণে সর্দি হাসি কাশি হয়ে থাকে

তাই যাদের হাসি কাশি হয়ে থাকে তারা হয়তো অনেকেই আছেন যারা পেটে উপরে বালিশ চাপা দিয়ে কাশি বা হাসি দিয়ে থাকেন

আবার অনেকেই আছেন যারা বেল পড়ে থাকেন তাদের জন্য হয়তো বালিশের প্রয়োজন হয় না

এদের করণীয় হলো এরা কুসুম গরম পানি হালকা লবণ দিয়ে পান করবে অথবা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবে


২য় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়

প্রথম বাচ্চা যদি সিজারে হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয় সিজারে করাতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। দ্বিতীয় বাচ্চার সময় যদি গর্ভবতীর শারীরিক অবস্থা এবং বাচ্চার পজিশন যদি ঠিক থাকে তাহলে নরমালে ডেলিভারি করা সম্ভব । 

তবে প্রথম সিজার করার যে কারণ ছিল সে কারণ যদি দ্বিতীয় বাচ্চার ক্ষেত্রে ও দেখা দেয় তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই সিজার করাতে হব। 

সাধারণত দ্বিতীয় সিজার করা হয় প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড এর সম্ভাব্য তারিখ এর দুই সপ্তাহ আগে। যদি গর্ভে বাচ্চার সংখ্যা একের অধিক থাকে তাহলে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ আগে সিজার করানোর প্রয়োজন পড়তে পারে। 

সবটাই ডিপেন্ট করে বাচ্চার শারীরিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এবং গর্ভবতীর গর্ভাবস্থার উপর নির্ভর করে।


জুলিয়াস সিজার কেন বিখ্যাত

এএনএম নিউজ ডেস্ক : অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসূতির তলপেটের একটি অংশ কেটে গর্ভস্থ সন্তানকে জন্ম দেওয়াকে সিজারিয়ান ডেলিভারি কেন বলা হয়, এই নিয়ে সবার মনেই প্রশ্ন।

প্রচলিত ধারণা হল, প্রাচীন রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার যেহেতু ছিলেন পৃথিবীর প্রথম সন্তান, যাকে এই ধরনের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম দেওয়া হয়। তাই একে বলা হয় সিজারিয়ান ডেলিভারি।

কিন্তু আদতে মোটেই এমন কিছু ঘটেনি। সিজারের জন্মের সময় থেকেই প্রসূতির পেট কেটে সন্তানের জন্ম দেওয়ার চল ছিল রোমান সাম্রাজ্যে তবে যেহেতু অ্যানাস্থেশিয়া এবং আধুনিক সরঞ্জাম ছিল না, তাই এই প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র সেই নারীদের উপরেই প্রয়োগ করা হত, যারা হয় মৃত নয়তো মৃতপ্রায়।

প্রসূতি মারা গেলেও যাতে গর্ভস্থ সন্তানকে বাঁচান‌ো যায়, সেই উদ্দেশ্যেই এই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হতো। 

খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই যদি প্রসূতির পেট কেটে কোন সন্তানের জন্ম হতো, তবে সেই প্রসূতির বেঁচে থাকার কোনও সম্ভাবনা থাকত না।

অর্থাত্‍ যদি সত্যি সত্যিই সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে জুলিয়াস সিজারের জন্ম হত, তবে তার মা সেখানেই মারা যেতেন। কিন্তু সিজারের মা অরেলিয়া সিজারের জন্মের পরেও অন্তত বছর পঞ্চাশেক বেঁচে ছিলেন।

তবে 'সিজার'-এর নাম এমন কেন হল? অনেক ঐতিহাসিকের মতে, সিজারের পূর্বসূরি 'সেজাস'-এর নাম অনুসারেই 'সিজার' শব্দটির জন্ম। শোনা যায়, এই 'সেজাস'-কেই নাকি তাঁর মায়ের পেট কেটে জন্ম দেওয়া হয়েছিল। 

আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী, জুলিয়াসের পরিবারের সকলেই লম্বা লম্বা চুল রাখতেন, রোমানে যাকে বলা হতো 'সেজারিজ'। এই সেজারিজ থেকেই সিজার শব্দটির উদ্ভব। কিন্তু জুলিয়াস সিজারের যে ক'টি প্রতিকৃতি পাওয়া যায়, তার সবক'টিতেই তার কদমছাঁট চুল।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post