ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা

প্রিয় দর্শক  ভাই ও বোনেরা  ডায়াবেটিস আমাদের সকলের কাছে একটি পরিচিত রোগ। বাংলাদেশে বিভিন্ন কারনে ডায়াবেটিস রোগ পরিচিতি পেয়েছে। 

বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগী পাওয়া যাবে না এমন পরিবার পাওয়া দুষ্কর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতামত অনুযায়ী, ডায়াবেটিস একটি অসংক্রামক রোগ যা মহামারি রোগের মত ছড়িয়ে পড়ছে।

এই রোগে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও সিস্টেমকে আক্রান্ত করে বলে এ রোগের নিয়ন্ত্রণ, সঠিক সময়ে রোগ নির্নয় ও সঠিক চিকিৎসাগ্রহণ জরুরি। 

বলা হয়ে থাকে ডায়েবেটিসে তিনটি “ডি” মেনে চলা জরুরি, প্রথমত ডায়েট বা পরিমিত খাবার, ড্রাগ বা ঔষধ এবং ডিসিপ্লিন বা নিয়মানুবর্তিতা। এখানে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে আলোচনা করব।

ডায়াবেটিস কি?

ডায়াবেটিস এক ধরনের মেটাবলিক ডিজঅর্ডার বা শরীরবৃত্তীয় কার্যক্রমের সমস্যা তৈরি করে এমন একটি রোগ ।

 এক্ষেত্রে শরীর অগ্নাশয়ের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন ও তা ব্যবহার করতে পারে না। অনেকের ক্ষেত্রে ইনসুলিন একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। 

 যে কোনো খাবার খাওয়া পর আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রুপান্তরিত করে।

অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, তা শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে।এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানি বা শক্তি হিসেবে। 

শরীরে যখন ইনসুলি্নের উৎপন্ন হতে পারে না অথবা এটি ঠিক মতো কাজ করতে পারে না তখনই এই ডায়াবেটিস রোগটি হয়।

এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমতে শুরু করে বা রক্তে চিনি বা গ্লুকোজ এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এর ফলে ঘন ঘন পশ্রাব হয়, গলা শুকিয়ে যায়, ওজনে পরিবর্তন হয়, শরীরে দূর্বলতা আসে, কোন ঘা সহজে শুকায় না, রক্তনালী ধংস হয়, স্নায়ু তন্ত্রে সমস্যা হয়, পা পচে যেতে পারে, অনুভুতি কমে যেতে পারে, এমনি স্ট্রোক ও মৃত্যুঝুকি বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিস ৪ ধরনের হয়ে থাকেঃ টাইপ-১, টাইপ-২, গেস্টেশনাল ও অন্যান্য।

টাইপ-১ ডায়াবেটিসঃ

টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের সব ইনসুলিন নষ্ট হয়ে যায়। তাদের যদি আলাদা ভাবে ইনসুলিন দেওয়া না হয়, তাহলে তারা মারা যেতে পারে। প্রায় ৫-১০ শতাংশ মানুষ টাইপ-১ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হয়।

টাইপ-২ ডায়াবেটিসঃ

যাদের শরীরে ইনসুলিন আছে কিন্তু সেটা কাজ করতে পারছে না। তখন আমরা যে খাবারই খাই না কেন তা গ্লুকোজ হিসেবে শরীরে জমে যায়,এটাই টাইপ-২ ডায়াবেটিস। প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ মানুষ এ ডায়াবেটেসে আক্রান্ত।

গেস্টেশনাল ডায়াবেটিসঃ

এটি সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে, প্লাসেন্টার কিছু হরমোন ইনসুলিন প্রতিরোধের জন্য দায়ী।

বেশিরভাগ মহিলাই প্রসব পরবর্তী স্বাভাবিক গ্লুকোজ সহনশীলতায় ফিরে আসেন কিন্তু পরবর্তী জীবনে ডায়াবেটিস হওয়ার যথেষ্ট ঝুঁকি (30-60%) থাকে। প্রায় ২-৫ শতাংশ মানুষ এ 

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হযটিস 
রক্তে শর্করার কোন বৃদ্ধি পায় 

(হাইপারগ্লাইসেমিয়া)। এটি হলে প্রচণ্ড তৃষ্ণার অনুভূতি পায় এবং কম অ্যান্টি-ডাইউরেটিক হরমোন নিঃসরণের কারণে অতিরিক্ত প্রস্রাব তৈরি হয়।

 অ্যান্টি-ডাইউরেটিক হরমোন ভ্যাসোপ্রেসিনের নিঃসরণ কমে যাওয়ায় প্রস্রাবের চরম উৎপাদন হয়। এটি প্রায় ১-২ শতাংশ মানুষের হয়ে থাকে।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

সকাল: সকাল সাতটা থেকে আটার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করতে হবে। সকালের নাস্তাটা দেরিতে হলেও যেন ৯.০০টার পর না যায় তা খেয়াল রাখতে হবে।

নাস্তায় আপনি রুটি/চিড়া/খই/ মুড়ি/ওটস্/ যেটা আপনার পছন্দ সেটাই নিতে পারেন। সাথে নিরামিষ আার একটা ডিম।

মধ্য সকাল: ১০.০০.থেকে ১১.০০ টার মধ্যে আপনি নিতে পারেন আপনার পছন্দমতো কোনো একটা ফল। মিষ্টি ফল হলে ১/২ কাপ পরিমাণে খাবেন।

দুপুরের খাবার: দুপুর বেলায় আপনি আপনার খাবারে পরিমানমত ভাত, মাছ/মুরগীর মাংস, শাকসবজি, সালাদ ও লেবু ইত্যাদি রাখবেন। দুপুরের খাবার হবে ১.০০ থেকে ২.০০ টার মধ্যে।

বিকালের নাস্তা: বিকালের নাস্তায় আপনি রাখতে পারেন সুপ, ছোলা, চিনি ছাড়া বিস্কুট, মিষ্টি ছাড়া পিঠা, বাদাম, মুড়ি, রং চা ইত্যাদি। 

রাতের খাবার: রাতে আপনি আপনার পছন্দমতো এবং পরিমানমতো রুটি বা ভাত বা ওটস নিতে পারেন। সাথে দুপুরের মতো মাছ/মুরগী, সবজি, সালাদ, লেবু ইত্যাদি রাখতে হবে। তবে রাতের খাবারটা আপনাকে রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে।

শোবার আাগে: রাতে শোবার এক ঘণ্টা আগে এক কাপ দুধ আপনি খেয়ে নিবেন। দুধে সমস্যা থাকলে দই, ছানা পনিরও আপনি নিতে পারেন পরিমাণমতো। 

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

১. মিষ্টি জাতিয় খাবার 

২. ডুবোতেলে ভাজা খাবার 

৩. অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার

৪. চর্বি জাতিয় খাবার; যেমন- ডালডা, ঘি ইত্যাদি

৫. গরু, খাসী, হাঁস ও পাখির মাংস এড়িয়ে চলতে হবে

ব্যায়াম বা শরীরচর্চা:

সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন শরীরচর্চা করতে হবে। যেমন- হাঁটা, সাঁতার কাটা, ব্যায়াম করা, সাইকেল চালানো, দড়ি লাফানো, খেলাধুলা করা ইত্যাদি। 

কিডনি পরিষ্কার করে এই ৯ খাবার

আপনি যা খাবেন তাই আপনার স্বাস্থ্যে প্রতিফলিত হবে। এবং আর যে কোনো অঙ্গের মতোই কিডনির সুরক্ষায়ও বিশেষ কিছু খাবার দরকার হয়। স্বাস্থ্যবান হৃদপিণ্ডের মতোই একটি স্বাস্থ্যবান কিডনি থাকাটাও জরুরি। 

কিডনিদের প্রধান কাজ হলো দেহ থেকে বর্জ্য বের করে দেওয়া। এবং ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষ অপসারণের মাধ্যমে দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়া। এছাড়াও কিডনি ইলেকট্রোলাইটস এবং অন্যান্য তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে।

 এমনই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গকে সুস্থ রাখার জন্য সঠিক কিডনির জন্য উপকারী খাদ্যাভ্যাসও জরুরি। এখানে রইল এমন নয় খাদ্যের তালিকা যেগুলো কিডনির সুরক্ষায় নিয়মিত খেতে হবে।

১. সবুজ শাকসবজি

নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। বেশিরভাগ শাকসবজিতে ভিটামিন সি, কে, ফাইবার ও ফলিক এসিড থাকে। এগুলো রক্তচাপ কমায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং কিডনি জটিলতা কমায়।

২. ক্যানবেরি জুস

চেরির মতো ক্যানবেরিতেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম। এই দুটি উপাদান কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 নিয়মিত ক্যানবেরি জুস খেলে মূত্রথলির সংক্রমণ কমে যায়। সেই সঙ্গে এটি কিডনিও পরিষ্কার করে। এছাড়া কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকিও কমে যায়।

৩. হলুদ

এলার্জি থেকে ত্বককে রক্ষা করা ত্বককে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি কিডনির রক্ষাও করে হলুদ। নিয়মিত হলুদ খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। 

সেই সঙ্গে কিডনিও পরিষ্কার হয়। এতে থাকা কারকুমিনে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান কিডনি রোগ ও পাথর জমা হওয়া রোধ করে।

৪. আপেল

প্রচলিত আছে 'প্রতিদিন একটা আপেল খান আর ডাক্তারকে দূরে রাখুন'। কথাটা কিডনির ক্ষেত্রেও সত্য। আপেল উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি আছে যা বাজে কোলেস্টেরল দূর করে হৃদ রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আপেল কাঁচা বা রান্না করে অথবা প্রতিদিন এক গ্লাস আপেলের জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৫. রসুন

রসুন ইনফ্লেমেটোরি এবং কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা দেহের প্রদাহ দূর করে থাকে। 

তবে রান্না করে খেলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না। ভাল হয় সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া, এটি হার্ট ভাল রাখার পাশাপাশি কিডনিকেও ভাল রাখে।

৬. ড্যান্ডেলিয়ন

এটি হলো একধরনের বন্য হলুদ ফুলের গাছ। এর মূল এবং পাতা শুকিয়ে চা বানিয়ে খেতে হয়। প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায় এবং দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়।

 এ ছাড়া পেটে স্ফীতি কমায়। এটি প্রাকৃতিকভাবে কিডনিকে পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৭. অলিভ অয়েল

একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিদিনের রান্নায় অন্যান্য তেলের চেয়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা বেশি স্বাস্থ্যকর। 

এতে অলিক এসিড, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি এসিড আছে যা কিডনি সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।

৮. লেবুর শরবত

প্রতিদিন লেবু মেশানো জল খেলেও কিডনি পরিষ্কার হয়। লেবুতে যে এসিড উপাদান আছে তা কিডনিতে জমা হওয়া পাথর ভাঙ্গতে বেশ কার্যকর। লেবুতে যে সাইট্রাস উপাদান আছে তা কিডনিতে থাকা ক্রিস্টালদের পরস্পরের জোড়া লাগতে বাধা দেয়।

৯. আদা

কিডনিকে আরও কার্যকরী করতে আদা খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ কিডনিকে ভাল রাখতে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদা কিডনিতে রক্তের চলাচল বাড়িয়ে কিডনিকে সচল ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

 এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। যদি নিয়মিত কাঁচা আদা, আদার গুড়া কিংবা জুস করে খাওয়া যায় তাহলে তা কিডনি পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে।

কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার

আমাদের সুস্থ রাখার জন্য নিরলস কাজ করে যায় শরীরের যেসব অঙ্গ, কিডনি তার মধ্যে অন্যতম। এই কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনি কী করছেন? 

আপনার প্রতিদিনের খাওয়া খাবার অনেকাংশে দায়ী থাকে কিডনি নষ্ট করার জন্য। আবার আপনার স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা পারে এই অঙ্গকে ভালো রাখতে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও কিডনিতে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কিডনির কাজ সম্পর্কে জানেন? এটি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 সেইসঙ্গে রক্তে পানি, লবণ এবং খনিজ উপাদানের স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখে। সুস্থ থাকার জন্য এর বিকল্প নেই। 

এদিকে আপনার অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস কিডনির কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। জেনে নিন এমন ৫ খাবার সম্পর্কে যেগুলো কিডনির জন্য ক্ষতিকর-

প্রোসেসড ফুড

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রোসেসড ফুড যেমন হিমায়িত খাবার এবং মাইক্রোওয়েভে রান্না করা খাবার টাইপ ২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই।

 অতিরিক্ত চর্বি, চিনি বা সোডিয়ামে ভরা এসব খাবার আপনার কিডনির ক্ষতি করার জন্য যথেষ্ট। প্রসেসড ফুড এড়িয়ে তাই তাজা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। দোকানের খাবারের বদলে বাড়িতে তৈরি খাবার খেতে হবে।

মেয়োনিজ

ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে মেয়োনিজ ব্যবহার করা হয়। সালাদ, স্যান্ডুইচ, বার্গারে ব্যবহার করা হয় এটি। এটি কিডনির জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়।এক টেবিল চামচ মেয়োনিজে থাকে ১০৩ ক্যালোরি। 

এ ধরনের খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে সবচেয়ে বেশি। যদি খেতেই হয় তবে ফ্যাট ছাড়া এবং কম ক্যালোরির মেয়োনিজ খান। এতে সোডিয়াম ও চিনির পরিমাণ যেন অতিরিক্ত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

আলুর ডিপ ফ্রাই

আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা আলুর চিপস খেতে দারুণ লাগে নিশ্চয়ই? কিন্তু মজাদার এই খাবার আপনার কিডনির বারোটা বাজানোর জন্য যথেষ্ট। এ ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন।

 কিডনি ও হার্ট ভালো রাখতে ডুবো তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আলুতে পটাশিয়াম থাকে অনেক বেশি যা কিডনির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

প্রক্রিয়াজাত মাংস

প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন বেকন, সসেজ, হট ডগ এবং বার্গার প্যাটিস ইত্যাদি কিডনির বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

উচ্চ সোডিয়াম জাতীয় খাবার রক্তচাপ বাড়ায়, এটি কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপের কারণ হতে পারে। কিছু গবেষণায় বলা হয় যে, বেশি প্রাণী প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনি রোগের আশঙ্কা বাড়তে থাকে।

কোমল পানীয়

কোমল পানীয়তে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। সেইসঙ্গে এতে থাকে না কোনো পুষ্টিগুণও। এটি খাবারের অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করে, যে কারণে বেড়ে যায় ওজন। 

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কোমল পানীয় পান করলে তা অস্টিওপোরোসিস (হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া), কিডনি রোগ, মেটাবলিক সিনড্রোম এবং দাঁতের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

কিডনি রোগী কি কি ফল খেতে পারবে

যে সব ফল খাওয়া যাবে :(প্রতিদিন যে কোনো এক প্রকারের ফল খাবেন ৫০ – ১০০ গ্রাম )

পেয়ারা ১/২, আপেল ১/২, নাসপাতি ১/২, পাকা পেপে ২-৪ টুকরা, কমলা ১/২, আনারস ২-৪ টুকরা, বেল |


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post